Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সাংস্কৃতিক সংগঠন

সংগঠন শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ organisation যার শাব্দিক অর্থ বিভিন্ন organ কে একত্রিতকরণ, গ্রন্থায়ন ও একীভূতকরণ বা আত্মীকরণ। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকেও এক একটি organ বলা হয়। মানবদেহের এই ভিন্ন ভিন্ন organ গুলোর গ্রন্থায়ন ও একীভূতকরণের রূপটাই সংগঠন বা organisation-এর একটি জীবন্তরূপ। মানব দেহের প্রতিটি সেল, প্রতিটি অণু পরমাণু একটা নিয়মের অধীনে সুশৃক্মখলভাবে যার যার কাজ সম্পাদন করে যাচ্ছে। মানুষের দৈহিক অবয়বগুলোর বিভিন্নমুখী কার্যক্রমের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এখানে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ আছে। আবার কাজের সুষম বন্টনের ব্যবস্থা আছে, পরস্পরের সাথে অদ্ভূত রকমের সহযোগিতা আছে। মন-মগজের চিন্তা-ভাবনা, কল্পনা ও সিদ্ধান্তের প্রতি দেহের বিভিন্ন organ দ্রুত সমর্থন-সহযোগিতা প্রদর্শন করে। তেমনি দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অভাব-অভিযোগ, অসুবিধা ইত্যাদির ব্যাপারে দেহরূপ এই সংগঠনের কেন্দ্র অর্থাৎ মন ও মগজ দ্রুত অবহিত হয়। মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের এই একীভূত রূপের অনুকরণে কিছুসংখ্যক মানুষের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এক দেহ এক প্রাণরূপে কাজ করার সামষ্টিক কাঠামোকেই বলা হয় সংগঠন বা organisation.

মুসলিম জনগোষ্ঠী মূলত একটি সংগঠন, জামায়াত বা organisation। এই জন্যেই হাদিসে রাসূলে এই জনসমষ্টিকে একটি দেহের সাথে তুলনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে : ‘‘হযরত নূমান বিন বশীর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন-মুমিনদের পারস্পরিক ভালবাসা, দয়া ও সহানুভূতি মানবদেহ সদৃশ। তার কোন অংশ রোগাক্রান্ত হলে সমগ্র দেহ নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে দুর্বল হয়ে পড়ে। (বুখারী ও মুসলিম)

মানুষের বিভিন্ন organকে বিচ্ছিন্ন করে রাখলে যেমন মানবদেহ বেকার ও অচল হওয়ার সাথে সাথে এসব organ গুলোও বেকার হয়ে যায়, তেমনি এটা সত্য সমাজবদ্ধ জীব মানুষের বেলায়ও। এই সমাজ একটা দেহ এবং ব্যক্তি মানুষগুলো এই সমাজ দেহের এক একটি organ। মানবদেহের organ গুলো পরস্পর বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্ন হলে যেমন দেহ ও organ সবটাই বেকার হয়ে যায়, তেমনি সমাজ দেহের organ গুলো ইতস্তত বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়লে, ব্যক্তি মানুষগুলোও মানুষের মর্যাদায় থাকতে পারে না এবং এই ব্যক্তিদের সামষ্টিক যে রূপটা সমাজ নামে পরিচিত, সেটাও মানুষের সমাজ নামে অবিহিত হওয়ার যোগ্য থাকে না। সুতরাং সংগঠন মানুষের জন্য, মানুষের ব্যক্তি ও সামস্টিক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যে একান্ত স্বাভাবিক ও অনিবার্য প্রয়োজন।

মানুষের এই সংগঠনের আদর্শ রূপ হবে মানব দেহেরই অনুরূপ। অর্থাৎ দেহের যেমন একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ আছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে নির্দেশ দেয়া হয়, সিদ্ধান্ত জানানো হয়, প্রয়োজন পূরণ করা হয়, অভাব-অভিযোগ দ্রুত শোনা হয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো যেমন সুন্দরভাবে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মেনে চলে আবার যার যার জায়গায় স্বাধীনও বটে, আবার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরস্পরের মধ্যেও একটি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে সুন্দর আদান-প্রদান মানে team spirit আছে। তেমনি মানুষের সমাজ পরিচালনার জন্যে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা থাকতে হবে। যার কাজ হবে সমাজের সমষ্টির ও ব্যক্তির স্বার্থ সংরক্ষণ করা। এমনভাবে যেন সামষ্টিক স্বার্থ সংরক্ষণ ব্যক্তির স্বার্থ ও স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে। আবার ব্যক্তির স্বার্থ ও স্বাধীনতা যেন সমষ্টির এবং অন্য ব্যক্তির স্বার্থ ও স্বাধীনতার পরিপন্থী না হয়। এখানে সমাজ ব্যক্তিদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে। ব্যক্তিরা যুগপৎভাবে সমাজের প্রতি এবং পরস্পর একে অপরের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে।

মানুষের সমাজের এই রূপটাই আসল রূপ। মানবতা ও মনুষ্যত্বের বিকাশ এমনি একটা পরিবেশ, এমনি একটা সামাজিক কাঠামোতেই সম্ভব হতে পারে। মানুষের বিভিন্ন প্রকৃতির, বিভিন্ন শ্রেণীর, বিভিন্ন বর্ণের, বিভিন্ন গোত্রের, দেশের ও ভাষার মানুষকে এক দেহ, এক প্রাণ হিসেবে গ্রন্থায়নে, আত্মীকরণে-মানুষের মনগড়া কোন প্রচেষ্টা আজ পর্যন্ত সফল হয়নি, হতে পারে না। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।

পক্ষান্তরে, মানবজাতি ইতিহাসের ফাঁকে ফাঁকে সমাজের আদর্শরূপও দেখেছে। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন নবী-রাসূলদের মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত নীতি-পদ্ধতির ভিত্তিতে। সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রতিষ্ঠিত সমাজ এবং খোলাফায়ে রাশেদীন পরিচালিত সমাজই সর্বকালের সর্বযুগের জন্যে আদর্শ সমাজ ও সংগঠন, যেখানে বিভিন্ন গোত্রের, বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন ভাষার মানুষকে এক দেহ এক প্রাণরূপে গড়ে তোলা হয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থ ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করেও সামাজিক শান্তি, নিরাপত্তা, শৃক্মখলা ও ইনসাফ সার্থকরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আদর্শ সমাজ সংগঠনের আওতায় মানুষের জীবনে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে নবী রাসূলগণ সবাই একই ধরনের মৌলিক নীতি ও পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। আজকের বিশ্বের মানবজাতিকে যদি আমরা এক দেহ প্রাণরূপে সংগঠিত করতে চাই তাহলে ঐসব মৌলিক নীতি পদ্ধতি এবং নবী রাসূল (সা.) গৃহীত কর্মকৌশল অবলম্বন করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। নিখিল বিশ্বে গোটা মানব সমাজের ব্যক্তির এক দেহ মন প্রাণ সমাজ সংগঠনই ইসলামী সংগঠনের মূল লক্ষ্য। আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনসমুহ মূলত এই বৃহত্তর লক্ষ্য পানেই ধাপে ধাপে ও পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হচ্ছে। ইসলামের সঠিক আকিদা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির উদ্দেশ্যে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত কিছুসংখ্যক লোকের সম্মিলিত ও সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার নাম ইসলামী আন্দোলন আর এর সামষ্টিক রূপ ও কাঠামোর প্রক্রিয়ার নাম ইসলামী সংগঠন।

ইসলামের সাথে আন্দোলন যেমন ওতপ্রোতভাবে জড়িত, ইসলাম ও আন্দোলন যেমন এক ও অভিন্ন ইসলামের সাথে সংগঠনের সম্পর্কও তেমনি। জামায়াতবদ্ধ জীবন ছাড়া ইসলামের অস্তিত্ব কল্পনা করাই সম্ভব নয়। ইসলামী আদর্শের প্রথম ও প্রধান উৎস এবং আল কুরআনের শিক্ষা আলোচনা করলে কোথাও ব্যক্তিগতভাবে ইসলামী জীবন যাপনের সুযোগ দেখা যায় না। আল কুরআনে বিভিন্ন সূরায় সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা এবং সংঘবদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেমন : সূরা আলে ইমরানের ১০৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে-

‘‘তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জু অাঁকড়ে ধর, বিচ্ছিন্ন হবেনা।’’ ইসলামী আদর্শের দ্বিতীয় উৎস সুন্নতে রাসূল বা হাদিসে রাসূল। সেখানেও সংঘবদ্ধ জিন্দেগীর বাইরে ইসলামের কোন ধারণা খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং এখানে বলা হয়েছে মাত্র দু'জন কোথাও ভ্রমণ করলেও তার একজনকে আমীর করে সংঘবদ্ধ শৃক্মখলা রক্ষা করে চলবে।

আল্লাহর রাসূল জামায়াতী জিন্দেগীর ব্যাপারে আরো সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন নিম্নোক্ত হাদিসটির মাধ্যমে : ‘‘হযরত হারেস আল আশয়াবী থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, রাসূল (সাঃ) বলেন, আমি পাঁচটি জিনিসের ব্যাপারে তোমাদের আদেশ করছি ১. জামায়াতবদ্ধ হবে ২. নেতার আদেশ মেনে চলবে ৩. নেতার আদেশ মন দিয়ে শুনবে ৪. আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ বর্জন করবে ৫. আর আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। (আহমদ ও তিরমিজি)

হাদিসে সংগঠনের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে- ‘‘যে ব্যক্তি আনুগত্য পরিত্যাগ করে এবং জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তার মৃত্যু হবে জাহেলিয়াতের মৃত্যু।’’

সুতরাং আল্লাহর কিতাব রাসূলের সুন্নাহ এবং সাহাবায়ে কেরামের ইজমার ভিত্তিতে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে, দ্বীন ইসলামে জামায়াতবিহীন জীবনের কোন ধারণা নেই। জামায়াতবিহীন মৃত্যুকে তো জাহেলিয়াতের মৃত্যু হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব জামায়াতবদ্ধ হওয়া, জামায়াতবদ্ধ হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানো ফরজ। দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করা ফরজ আর আন্দোলনের জন্য সংগঠন অপরিহার্য। কাজেই সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া অনিবার্য কারণেই ফরজ হতে বাধ্য।

ইসলামী আন্দোলনের প্রয়োজনে গড়ে উঠা সংগঠনে কিছু উপাদান রয়েছে। ইসলামী সংগঠন সঠিক ইসলামী আকিদা বিশ্বাসের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সংগঠন বিধায় সে একমাত্র কোরআন সুন্নাহর আদর্শকেই আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে এবং মুমিন জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যা হওয়া উচিত তাকেই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করে। সুতরাং ইসলামী সংগঠনের উপাদানগুলো হলো :-

১. কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক আদর্শ, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, কর্মসূচি এবং কর্মপদ্ধতি।

২. কোরআন ও সুন্নাহর অনুসারী নেতৃত্ব।

৩. কোরআন ও সুন্নাহর বাঞ্ছিত মানের অনুগত্য।

৪. এর সাধারণ এবং বৃহত্তম কর্মক্ষেত্র সমগ্র দুনিয়ার মানুষ।

উপরে ইসলামী সংগঠন, সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা ও এর যেসব উপাদানের কথা আলোচনা করা হল সেইসব উপাদানের ভিত্তিতে ছাত্রী সমাজের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা' নামে একটি আলোকিত সংগঠনের জন্ম হয়েছে ১৯৭৮ সালের ১৫ জুলাই। শুরুতে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ১১ জন বোন নিয়ে। আজ তার অঙ্গনে হাজারো বোনের কল্লোলে মুখরিত। তাই এখন আমাদের অপরিহার্য করণীয় কাজ হলো এই সংগঠনের পতাকাতলে একত্রিত হয়ে ছাত্রী অঙ্গনে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করা যাতে দুনিয়ায় ও আখেরাতে মুক্তি হাসিল করা যায়। আর এভাবেই আমরা আদর্শ মুসলিম নারী হবার পাশাপাশি আল্লাহর সন্তোষ অর্জনে সচেষ্ট হবো। ইনশাআল্লাহ।

এসো আজ-

‘হাতে হাত রেখে শপথ করি

এসো ইসলামেরই পথ ধরে যাই এগিয়ে

সঙ্গীন উঁচু করে তৌহিদী সুরে

এসো পাল তুলে দেই ঝড়ো হাওয়ার তীরের খোঁজে...

আজ থেকে আমরা সবাই একই পথের যাত্রী। আজ থেকে আমাদের জীবনের হোক এই লক্ষ্য :

১. বাংলাদেশের ছাত্রী সমাজকে আল্লাহর কোরআন ও রাসূলের সুন্নাহ অনুযায়ী গঠন করা।

২. আদর্শ মুসলিম নারী হিসাবে তাদেরকে এবং নিজেদেরকেও গঠন করা।

৩. আল্লাহর দ্বীনকে আল্লাহর দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো।

৪. আর এই চেষ্টা সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন।

৫. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি লাভ করা। আর এই লক্ষ্য উদ্দেশ্যকেই বাস্তবায়ন করার জন্যে ছাত্রীসংস্থা গ্রহণ করেছে তিন দফা কর্মসূচি :

১. ছাত্রীদের মাঝে ইসলামের সঠিক ধারণার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার।

২. যেসব ছাত্রী ইসলামী আদর্শ অনুযায়ী জীবন গঠন করতে ছাত্রী সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে চায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে উন্নত নৈতিক জীবনযাপনের প্রশিক্ষণ দেয়া।

৩. ছাত্রী সমাজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা এবং বিভিন্নমুখী সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

এসব লক্ষ্য উদ্দেশ্য কর্মসূচির ভিত্তিতে কাজ করতে হলে আমাদেরকে আল্লাহর রঙে, রঙিন হতে হবে। এজন্য আমাদের প্রয়োজন ;

১. প্রতিদিন অর্থসহ কোরআন পড়া।

২. মনোযোগ দিয়ে নিয়মিত হাদীস পড়া।

৩. নিয়মিত মনোযোগ দিয়ে নামাজ পড়া।

৪. ইসলামকে ভালভাবে জানার জন্য ইসলামী বই পড়া।

৫. রাসূলের জীবনকে জানার চেষ্টার পাশাপাশি তার মত জীবন গড়া।

৬. মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা।

৭. মহীয়সী নারীদের জীবনী পড়ে তাদের মত হবার চেষ্টা করা।

৮. ভালো ছাত্রী হবার পাশাপাশি ভাল মুসলিম হবার চেষ্টা করা।

৯. প্রতিদিন সব কাজের হিসাব রাখা এবং আত্মসমালোচনা করা।

১০. বাবা-মার কথা শোনার পাশাপাশি পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠী ও পাড়া-প্রতিবেশী সবার সাথে ভাল আচরণ করা।

এভাবে আমরা মিলেমিশে যখন চেষ্টা করব, তখনই সমাজে শান্তি আসবে। কেননা সংগঠন ছাড়া সমাজে শান্তি আনা সম্ভব নয়, সেজন্য সবাই মিলে তা করতে হবে।

আমরা আজ একত্রিত হই ইসলামের সত্য ও সুন্দরের ছায়াতলে শান্তি সুষমায় ভরে তুলি আমাদের পার্থিব জীবনকে, সেই সাথে পরকালেও, তাহলেই জান্নাতের সেই সুশীতল ছায়াতলে আমরা পাব আশ্রয়, থাকব একসাথে ভ্রাতৃত্ব আর ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে। আর আল্লাহ আমাদের কবুল করুন প্রিয় পাত্রী হিসেবে। সেই সাথে আমাদের কবুল করুন ‘ছাত্রী সংস্থার' পাতাকাতলে সমবেত হয়ে আল্লাহর দ্বীনকে মজবুতভাবে ধারণ করে আলোকিত সমাজ গড়ার। আমীন।